1. admin@fastbanglanews24.com : fastbangla :
বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন

হৃদয়ে লিখো নাম রয়ে যাবে, শেখ হাসিনাকে মাহমুদুর রহমান মান্না

  • প্রকাশিত : শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৩৯ বার পাঠ করা হয়েছে

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা মুছে দেয়ার কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) অনার বোর্ডে ছিলো না মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম। তিনি চাকসুর জিএস ও নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক।

এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে তিনি আমার দেশকে বলেন, ওই যে একটি গান আছে না ‘কাগজে লিখো নাম ছিড়ে যাবে, ব্যানারে লিখো নাম মুছে যাবে। পাথরে লিখো নাম ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লিখো নাম রয়ে যাবে’। কিন্তু আমি বুঝেছিলাম, নাম মুছে দিলে সব শেষ হবে না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশেই তার নাম অনার বোর্ড থেকে মুছেছিল ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ আমাকে ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে। আমার নাম অনার বোর্ড থেকে মুছে দেয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল। এটি স্পষ্টভাবে দেখায় কিভাবে রাজনৈতিক প্রভাব ও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে বিকৃত করতে পারে।

এরআগে ২০১৫ সালে তার নাম অনার বোর্ড থেকে মুছে দিয়েছিলো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী চাকসু ভবনের তৃতীয় তলায় থাকা অনার বোর্ড থেকে মান্নার নাম মুছে ফেলে। একই দিনে তার ছবি সংগ্রহশালায় টাঙানো থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়।

ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তফা সাইফুল রোমেন, যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু ও নাজমুল হোসাইন।

২০২৪ সালে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পরও নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিলেও নামটি তখনও অনার বোর্ডে দৃশ্যমান হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমালোচনা শুরু হলে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নামটি পুনঃলিখন করে।

চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. জাহিদুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেই অবিলম্বে নাম পুনঃলিখন করেছি।

মাহমুদুর রহমান মান্না ১৯৭২ সালে জাসদ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে জাসদ ছাত্রলীগ এবং ১৯৮০ সালে বাসদ ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি দু’বার ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। ডাকসুর ইতিহাসে একমাত্র দুবারের ভিপি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি